The Basic Principles Of মাশরুম চাষ পদ্ধতি

>> এক মিটার লম্বা, এক মিটার চওড়া এবং ৩০ সি.মি. উঁচু তলাবিহীন কাঠের ফরমা বা বাক্সটি পলিথিন বিছানো কাগজের ওপর রাখুন।

১. নিয়মিত মাশরুম খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধব্যবস্খা উন্নত হয়। গর্ভবতী মা ও শিশুদের জন্য মাশরুম একটি দারুণ দাওয়াই।

you end up picking the get more info subject areas of one's fascination and we are going to ship you handpicked information and most current updates depending on your selection.

লেখক : শহীদুর রহমান ভূঁইয়া, মাশরুম চাষি

↪️ ডাউনলোড করুনঃ মাশরুম চাষ পদ্ধতি বই pdf

মাশরুম উৎপাদন এবং ক্রয়-বিক্রয় কেন্দ্র

বিশ্বে যত স্বাস্খ্যকর খাবার আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো মাশরুম। অথচ না জেনে না চিনে ব্যাঙের ছাতা মনে করে আমরা এটিকে কত না অবজ্ঞার চোখে দেখি। মাশরুমের যে কত রকম ওষুধিগুণ আছে তার কোনো ঠিক নেই। পুষ্টিমানও অনেক। অন্য যেকোনো সবজির মতো এটিকে খুব সহজেই সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। নানান পুষ্টিগুণে ভরপুর মাশরুমের যেসব ওষুধিগুণ আছে সেটা একবার দেখে নেয়া যাক।

মাশরুমে শর্করার পরিমাণ কম থাকায় এই খাবারটি বহুমূত্র রোগীদের জন্য আদর্শ খাবার।

প্রকৃতিতে মাশরুমের কয়েক হাজার জাত রয়েছে যার মধ্যে ৮-১০টি জাতের বাণিজ্যিক চাষাবাদ হয়ে থাকে। বাংলাদেশের তাপমাত্রা ও আপেক্ষিক আদ্রতা মাশরুম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বাংলাদেশের চাষপযোগী মাশরুমের জাতগুলো হলো-

এভাবে রাখার ৩-৪ দিন পর বীজের চারদিক দিয়ে মাশরুমের অঙ্কুর গজাতে শুরু করবে। পরবর্তীতে ৪-৬ দিন পরে খাওয়ার উপযোগী মাশরুম গোড়া থেকে তুলে নিতে হবে।

মাশরুম চাষ পদ্ধতি: মাশরুম চাষ করতে গেলে সর্বপ্রথম সঠিক কর্মপরিকল্পনা করা প্রয়োজন। সঠিকভাবে কাজ পরিচালনা করার জন্য হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেওয়া জরুরি। কিছু লোক একত্রে মিলেমিশে মাশরুম চাষ করলে দ্রুত লাভবান হওয়া সম্ভব। ঘরে বসে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করা যায়। গ্রাম বা শহরের বেকার যুবকরা এই মাশরুম চাষ করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেন। পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও ঘরে বসে অল্প মূলধনে মাশরুম চাষ শুরু করতে পারেন। মাশরুম চাষ করার জন্য আলোহীন স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ প্রয়োজন, তবে খেয়াল রাখতে হবে ঘরে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে, শহর ও গ্রামে সব জায়গায় মাশরুম চাষ করা সম্ভব। স্পূনগুলোকে রাখার জন্য ছোট ছোট মাচা ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো হতে পারে লোহা, বাঁশ কিংবা কাঠের। অতিরিক্ত গরম মাশরুম চাষের জন্য প্রতিকূল; এজন্য প্রয়োজন হলে ফ্যান ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি মাশরুম চাষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি প্রয়োজন। হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের সাহায্যে স্পূনগুলোতে নিয়মিত পানি দিয়ে স্যাঁতসেঁতে করে রাখতে হবে।

চারদিকে খড়ের স্তূপের কিনার থেকে ৫ সে.মি. ছেড়ে ১ সে.মি. পুরু ও ৫ সে.মি. চওড়া করে ভেজা তুলা ঠিকমত বিছিয়ে দিন।

মাশরুম চাষ অত্যন্ত লাভজনক। মাত্র ১০-১৫ দিনেই খাবার উপযোগী হয়। এটা চাষের জন্য আবাদী জমির প্রয়োজন হয় না। চাষের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সহজলভ্য। বেকার যুবক-যুবতী এবং মহিলারা ঘরে বসেই এর চাষ করতে পারেন। অন্যান্য সবজির তুলনায় বাজারে এর দাম অনেক বেশি, এজন্য এটা চাষ করা অত্যন্ত লাভজনক। অভ্যন্তরীণ বাজার ছাড়াও বিদেশে রফতানির সুযোগ বিদ্যমান। গ্রীষ্মকালে যে কোনো চালা ঘরের নিচে এবং বারান্দায় চাষ করা যায়। বর্ষাকালে পানি প্রবেশ করে না অথচ বাতাস চলাচলের সুবিধা আছে এমন ঘরে এর চাষ করতে হয়। শীতকালে ভেজা স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার ঘরে এর চাষ হয়ে থাকে। বাংলাদেশে গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালে 'স্ট্র মাশরুম' এবং শীতকালে 'ওয়েস্টার' জাতের মাশরুম চাষ উপযোগী।

এখন কাঠের বাক্সর মধ্যে সমানভাবে ভেজা খড় একটু চাপ দিয়ে সাজাতে থাকুন যেন বিছানো খড়ের স্তর ৮-১০ সে.মি. পুরু বা উঁচু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *